খুলনার পাইকগাছায় এক গৃহবধূকে সুপার গ্লু দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে গণধর্ষণের নৃশংস ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে ৪-৫ সদস্যের এক ডাকাত চক্র বাড়িতে ঢুকে এই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী গ্রামে ঘটেছে। সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা ওই নারীকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় অচেতন দেখে উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী রোববার রাতে ব্যবসার কাজে গড়ইখালীতে অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে ডাকাতরা বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীর চোখ ও মুখ সুপার গ্লু দিয়ে আটকে দেয় এবং পাশবিক নির্যাতন চালায়।
প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, ডাকাতরা রাতের অন্ধকারে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে নারীর চোখ ও মুখ সুপার গ্লু দিয়ে আটকে দেয়। এরপর ওড়না দিয়ে তার চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং হাত বাঁধে। এ সময় তারা নারীর কানের দুল ও নাকফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়।
ডাকাতরা শুধু নারীর ওপর নির্যাতনই চালায়নি, বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে আলমারি ও বাক্স থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা নারীটিকে বাঁধা অবস্থায় অচেতন দেখে উদ্ধার করে। তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নারীটি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তার স্বামী জানান, তার স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. সাইফুল ইসলাম এবং পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান। ওসি ওবাইদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ভুক্তভোগী নারীটি এখনও অসুস্থ। তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। তার অবস্থা উন্নত হলে আমরা সঠিক তথ্য পেতে পারব।”
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ [১]