সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক মর্মান্তিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মোসলেম (৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন, যখন শিশুটি তার বাড়ির পাশে খেলতে গিয়েছিল।
ঘটনার বিবরণ
বৈদ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুটিকে মোসলেম খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটির গলায় কাঁচি ধরে রাখে এবং তার কথায় রাজি না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে, সে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণের কথা কাউকে বলে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
শিশুটি বিচ্ছিন্ন ও ভীত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরিবারটি প্রথমে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়েছিল, কিন্তু এরপরই ঘটনাটি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
টাকার বিনিময়ে ন্যায়বিচার চাপা দেবার চেষ্টা
ধর্ষণের ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ার পর, অভিযুক্ত মোসলেম স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় বিষয়টি টাকা দিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করে। পরিবারকে চাপ দেওয়া হয় এবং আর্থিক প্রলোভন দেখানো হয় যাতে তারা মামলা না করে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচার চাইতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকায়, মোসলেম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশের তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ
এ ঘটনায় কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, ভুক্তভোগীর পিতা একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এখন আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর রয়েছে।
তারিখ: ১২ জুন, ২০২৫
এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন: ittefaq
Click here to read this article in English