বরিশালের গৌরনদী উপজেলার জঙ্গলপট্টি গ্রামে একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ির মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। বুধবার (৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থল জঙ্গলপট্টি গ্রামের বাসিন্দা রাম কৃষ্ণ দে’র বাড়িতে পারিবারিক উপাসনালয়ের মধ্যে রাখা হিন্দু ধর্মীয় দুটি প্রতিমা ছিল। বুধবার দুপুরে এক কিশোর হঠাৎ করেই সেই বাড়িতে প্রবেশ করে এবং মন্দিরের ভিতরে থাকা প্রতিমা দুটি ভাঙচুর করে পালানোর চেষ্টা করে। তবে আশেপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তৎক্ষণাৎ কিশোরটিকে ধরে ফেলেন এবং পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক কিশোরের বাড়ি একই উপজেলার ভীমেরপাড় গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার নাম এবং বয়স তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “আটক কিশোর বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলার পর তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে, সে এককভাবে এমন কাজ করেছে নাকি কারো প্ররোচনায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, উস্কানি বা সংঘবদ্ধ কোন পরিকল্পনা থাকলে তদন্তের মাধ্যমে তা বেরিয়ে আসবে। স্থানীয়দের কেউ কেউ এ ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন, যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা দুটি আংশিকভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে। রাম কৃষ্ণ দে ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
তারিখ: ০৫ জুন, ২০২৫
এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন: bdnews24
Click here to read this article in English