ফরিদপুরে স্থানীয় লোকজন একটি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিশোরটি বাইসাইকেলে ঘোরানোর কথা বলে সাড়ে চার বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করেছে।
ঘটনাটি শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটে। শনিবার বেলা ৩টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, অভিযুক্ত কিশোরটি ভুক্তভোগী শিশুটির চাচার হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তাকে মশার কয়েল কিনে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতে ফেরার পর কিশোরটি শিশুটিকে বাইসাইকেলে ঘোরানোর কথা বলে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। কিশোরটি পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে ফেলে পিটুনি দেন এবং পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ওসি আসাদউজ্জামান আরও জানান, অভিযুক্ত কিশোরকে শিশু আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে শিশুটির চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আবারও তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো শিশু ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।
তারিখঃ ০৮ মার্চ, ২০২৫
তথ্যসূত্রঃ ঢাকাট্রিবিউন