ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নে এক মর্মান্তিক ঘটনায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে ধামরাই থানা পুলিশ রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর এলাকা থেকে অভিযুক্ত মো. জুবায়ের আহামাদ (২৩) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বালুয়াদিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা জুবায়ের স্থানীয় তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছিলেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, রোববার (৪ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক ব্যবস্থায় থাকা শিশু শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে যায় জুবায়ের। সেখানে জোরপূর্বক শিশুটির পোশাক খুলে। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। পরদিন সোমবার শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে মাকে ঘটনার কথা জানালে পরিবারটি ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
ভুক্তভোগী শিশুর মা কর্তৃক দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত অভিযুক্তের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশু সুরক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে মঙ্গলবার (৬ মে) আদালতে হাজির করা হবে। শিশু অধিকার সংগঠনগুলোও ঘটনাটি তদন্তে এগিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে। শিশু ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুনানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তারিখ: ০৭ মে, ২০২৫
এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন: bdnews24, ittefaq, channelionline, kalbela
Click here to read this article in English