গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের মর্মান্তিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটন মিয়া (৪০)। পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিবরণ
ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিয়মিত টাকা তোলার সময় তার সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী লিটনের পরিচয় হয়। লিটন তাকে তালহা স্পিনিং মিল নামের একটি কারখানায় ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান।
১৫ জুন (রোববার) সকাল ৬টায় লিটন কিশোরীর বাবাকে ফোন করে তাকে বুথে ডেকে পাঠান। কিশোরী সেখানে পৌঁছালে লিটন তাকে বুথের ভেতরের একটি ছোট কক্ষে নিয়ে যায় এবং কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে অপেক্ষা করায়। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পর কিশোরীকে বাড়ি পাঠানো হলে পথে সে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
মামলা ও গ্রেপ্তার: তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা
ঘটনার দিনই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পুলিশের অভিযানে লিটন প্রথমে পলাতক থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ১৬ জুন (সোমবার) রাত ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ডুবাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ ও পরিবারের বক্তব্য
শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। লিটন বারবার অবস্থান পরিবর্তন করলেও পুলিশের অভিযান ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ১৭ জুন (মঙ্গলবার) লিটনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, লিটনের চাকরির প্রলোভনে তারা প্রতারিত হয়েছেন। কিশোরীটি এখন মানসিক আঘাতে ভুগছে এবং তার পরিবার ন্যায়বিচার চাইছে।
তারিখ: ১৭ জুন, ২০২৫
এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন: prothomalo, mzamin, bdnews24, dhakatribune, ntvbd
Click here to read this article in English