কক্সবাজারে এক মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (১০ মার্চ ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাড়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত তারেকুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার শিকার মার্কিন নারী (২৬) কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। তার স্বামীও একই সংস্থায় চাকরি করেন। ঘটনার সময় ওই নারীর সঙ্গে তার এক নারী সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারী একটি শর্ট মেসেজের মাধ্যমে তাকে ঘটনার বিস্তারিত জানান।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, সকাল ১০টার দিকে মার্কিন নারী ও তার সহকর্মী শহরের শহীদ সরণি দিয়ে হাঁটছিলেন। তারা লক্ষ্য করেন যে একজন যুবক তাদের অনুসরণ করছে। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা হিলডাউন সার্কিট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাদের অনিরাপদ মনে হচ্ছিল। দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর যুবকটি তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। হঠাৎ যুবকটি মার্কিন নারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরে এবং তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এরপর যুবকটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারী তার বার্তায় যুবকের শারীরিক বৈশিষ্ট্যও বর্ণনা করেন। তিনি লিখেন, ছেলেটি খাটো গড়নের এবং হলুদ রঙের টি-শার্ট পরা ছিল।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন জানান, ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে। সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর অভিযুক্ত তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত তারেকুল ইসলাম কক্সবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আগেও কক্সবাজার মডেল থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সে ‘চুইল্যা তারেক’ নামে পরিচিত।
পুলিশ সুপার বলেন ঘটনাটি মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। খুদে বার্তা পাওয়ার পর পুলিশ ওই যুবককে ধরতে অভিযান শুরু করে। তিনি (ভুক্তভোগী নারী) অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তারেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগের মামলার রেকর্ড এবং বর্তমান ঘটনার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন বলেছেন, “আমরা ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি এবং ঘটনাটির তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলছে।”
প্রকাশের তারিখ: ১১ মার্চ ২০২৫
তথ্যসূত্রঃ BDbulletin
Click here to read this article in English