লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় ৫ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির চাচা রাবিউল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রোববার সন্ধ্যায় সংঘটিত এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
রোববার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলায় রাবিউল ইসলাম তার ৫ বছর বয়সী ভাতিজিকে নিজ কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। শিশুটির চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে রাবিউল ইসলাম পালিয়ে যায়। এ সময় শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শিশুটিকে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটির বাবা জানান, তার মেয়ের অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন।
চিকিৎসক ও পুলিশের বক্তব্য
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ারুল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “৫ বছর বয়সী শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের কাছে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন নবী জানান, অভিযুক্ত রাবিউল ইসলামকে ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির বাবা সোমবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
শিশুটির বাবা ঘটনায় গভীর মর্মবেদনা প্রকাশ করে বলেন, “অভিযুক্ত রাবিউল ইসলাম আমার চাচাত ভাই। আমার মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটির প্রতি নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন চাচা তার নিজের ভাতিজির প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারে।
আইনানুগ ব্যবস্থা
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রাবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে।
এই ঘটনা শিশু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সমাজে আরও সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
তথ্যসূত্র: samakal
তারিখঃ ১৭ মার্চ, ২০২৫
Click here to read this article in English