গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় পুলিশ ৭৫ বছর বয়সী বিষা শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ রয়েছে যে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণ করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার হরিচন্ডিপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষা শেখ হরিচন্ডিপুর গ্রামের মৃত হোসেন মুন্সি ওরফে খছর মিয়ার ছেলে। ধর্ষণের অভিযোগটি উঠেছে সোমবার দুপুর ২টার দিকে। ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দুপুরে বিষা শেখ শিশুটিকে ভুট্টা খেতে ডেকে নিয়ে যান। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শিশুটির পরিবার এবং স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পেরে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বিষা শেখকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বিষা শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে শিশুটি তার মা-বাবাসহ থানা হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত বিষা শেখকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এই ঘটনাটি স্থানীয় সম্প্রদায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শিশু অধিকার ও নারী নির্যাতন বিরোধী সংগঠনগুলো ঘটনাটির তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঘটনাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ধরনের ঘটনা শিশু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা আরও একবার তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো শিশু ও নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনাটি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার হরিচন্ডিপুর গ্রামে ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, বিষা শেখ এলাকায় একজন পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি। তবে এই ঘটনায় সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ঘটনাটির তদন্তে কোনো প্রকার গাফিলতি করবেন না এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। গাইবান্ধার শিশুটির পরিবারকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা আরও একবার তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো শিশু ও নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
তারিখ: ১৭ মার্চ, ২০২৫
তথ্যসূত্র: সমকাল
Click here to read this article in English